থাইরয়েড গ্রন্থি

থাইরয়েড হরমোন মানব দেহের অতি প্রয়োজনীয় একটি হরমোন। যার প্রভাব শরীরের প্রতিটি অংশে বিদ্যমান। থাইরয়েড হরমোন ছাড়া সুস্থ ভাবে বাঁচা প্রায় অসম্ভব। এই হরমোনটি নিঃস্বরিত হয় থাইরয়েড নামক গ্রন্থি থেকে। থাইরয়েড গ্রন্থি সম্পর্কে মানুষ জানতে পেরেছে মাত্র কয়েকশত বৎসর পূর্বে। ১৬০০ শতাব্দীর প্রথম দিকে শরীরবিদ্যাবিদগণ প্রথম সনাক্ত করেন মানবদেহে থাইরয়েড গ্রন্থিকে এবং থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যাওয়া গলা ফুলার কারণ। ইংলিশ মরফোলজিস্ট Thomas Wharton ১৬৫৬ সালে সর্ব প্রথম এই গ্রন্থির নাম দেন "Thyroid Gland" (থাইরয়েড গ্রন্থি)। থাইরয়েড শব্দটি গ্রিক শব্দ যার অর্থ বর্ম (Shield)। বামনত্ব (Critinism) ও গলগন্ড (Goiter) এর মধ্যে যোগস্ত্রূ রয়েছে প্রথম দেখতে পান Paracelsus and Platter.

থাইরয়েড গ্রন্থি একটি নালীবিহীন গ্রন্থি যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়:

থাইরয়েড গ্রন্থি একটি নালীবিহীন গ্রন্থি যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। থাইরয়েড শব্দটি গ্রীক শব্দ যার অর্থ বর্ (Shield) এটি গলার সামনে নিচের দিকে ও দু পাশে থাকে । দেখতে প্রজাপতির মতো এর দুইটি লোব থাকে। এর ওজন ২৫ গ্রাম, লম্বা ৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থে ১ সে.মি.। এটি শরীরের প্রথম অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি, তাই থাইরয়েড গ্রন্থিকে mother gland বলা হয়। থাইরয়েড গ্ল্যান্ড মানব শরীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ এন্ডোক্রাইন গ্ল্যান্ড। এই গ্ল্যান্ডের স্বাভাবিক কর্র্মক্ষমতা বজায় থাকা সুস্থ শরীরের জন্য অপরিহার্য । এই গ্রন্থি থেকে T3 (Tri-iodothyronin), T4 (Thyroxin) নামক দুটি হরমোন নিঃসরিত হয়। যা দ্বারা শরীরের যাবতীয় বিপাক ক্রিয়া ও বৃদ্ধি সাধন হয়।

থাইরয়েড হরমোন

থাইরয়েড হরমোন পেপটাইড দ্বারা গঠিত হয় যা মূলত আয়োডিন বহন করে। এই হরমোন নিঃসরণ প্রক্রিয়া আবার নিয়ন্ত্রিত করে মস্তিষ্কের পিটুইটারী নামক আরেকটি নালীবিহীন গ্রন্থি। সেখান থেকে ”থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন” (TSH) নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে।